
নগদ ঔদ্ধত্যের রাশি
কূল আছে
কিনারাও তাই
ভরা মৌসুমের বাঞ্ছা হয়ে প্রগলভতা উড়াই
জনে জনে
নগদ ঔদ্ধত্যের রাশি
বিনয়ের বাধিত অবতার হয়ে গায়ে ঠোকাঠুকি
সুনন্দের সমূহ মেঘে
বাহিত আর্দ্রতা
দমের শুষ্ক শঙ্কাকে গোপন
তোমার মঞ্জরিত অহম
ধেয়ে
সেচের অদূর সম্ভাবনার ভূগোল
নিহিত তীর্যক ফাটা দাগে—
আমাকে দিতে চাওয়া তোমার ধাক্কাই
আমাকে দিয়ে আমি ফেলে দেবো আগে
মুহূর্তমিলনে
আমরা ফুরাই আমরা ফুরাতাম আমরা ফুরাবো
চার বিলিয়ন বয়সের সমুদ্রতীরে
রাস্তা পার হলে, দোলে দুইটা ফুল
যেভাবে দুলতো যেভাবে দুলবে
যেভাবে দোলে দোলে উড়ে যায়—যাবে
তীর শুধু ধরে রাখে
আমাদের—ফুরানোর আগে।
উৎকণ্ঠা তার
একটা এস্টেরয়েড ধেয়ে এসে
মুহূর্তমিলনে
তেরোশ’ মিটারের উচ্চতায়
তীরে ঢেউ তুলে দেবে…
নিরুকে নিয়ে যাই
সদ্য-মরে-যাওয়া নিরুকে নিয়ে যাই
বিকল্প ব্যাটের গাছায়
মোড়ানো প্লাস্টিকের বল ঠুকে
মেতে থাকি চারে ছয়ে
ডাকলেও শুনি না
দাগালেও কামান—নামি না
নিরোধে গতি ধরি না বল
গড়িয়ে যায় অবিরাম
যাক
বলের মতোই গড়াতে গড়াতে
শৈশব আজিকার মুখ
কোনোদিনই না দেখুক
চলতেছে চলুক চির শিশুকাল
পাছে
বন্ধু মরে যায়
মনোমানবিকতার ক্যারিকেচার
যেমতে আনন্দ হাসি
ব্যথা ও বেদনা—বিরহ ভালোবাসা হয়
প্রেম হয় কাতরতা বিঁধে
হিংসাও একই ক্ষোভ রাগ দ্রোহ
সমস্ত লোভ নিয়েই মানবিক বোধ
তাই আমি পুষি যেভাবে পোষো হৃদয়
সাথে নিয়ে অহেতু মূল্য
মনোমানবিকতার ক্যারিকেচার
নারীদেহের অতিশায়িত ভুবনে
ক্লিষ্ট হয়ে চুপ;
বড়ো বড়ো লোকের নীতিশ্রেণির সংঘাতে
পারবো না বনানী-বোধকে আর
প্রাণে-প্রকৃতিতে ফোটাতে…
আরাধ্য
রেশ মেখে রাখা সহজ কতিপয়
বিদায়ী প্রেমের ঝাড়ু মুখে মারারও
বরঞ্চ বক্ষ মারিঃ হাওয়ায় জোরে
নিনাদ শনৈঃ শনৈঃ গ্রাস করে জাগতিকতার ’পরে
কেঁপে কেঁপে কাঁসার ঝনাৎ নধর অসীমে
ছড়ায়ে যায় নেবুলায় নাকি দূর আরো দূরে
ঢের অধীর মুখাবয়বে
আরাধ্য নির্মমতার নেই শেষ।
আপনার মতামত লিখুন :