মনিরামপুরে পাট, কেনাফ ও পাটশাকের বীজ উৎপাদনে আধুনিক কলা-কৌশল বিষয়ে কৃষক প্রশিক্ষণ


আমাদের যশোর প্রকাশের সময় : অক্টোবর ১৬, ২০২৫, ৩:১১ অপরাহ্ণ / 12
মনিরামপুরে পাট, কেনাফ ও পাটশাকের বীজ উৎপাদনে আধুনিক কলা-কৌশল বিষয়ে কৃষক প্রশিক্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, মনিরামপুর: বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল পাট, কেনাফ ও পাটশাকের বীজ উৎপাদনের আধুনিক কলা-কৌশল বিষয়ে দিনব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর ২০২৫) যশোর জেলার মণিরামপুরে অবস্থিত পাট গবেষণা উপ-কেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নার্গীস আক্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন ড. ইয়ার উদ্দিন সরকার, পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন), বিজেআরআই, ঢাকা এবং জনাব বিশ্বজিৎ কুন্ডু, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বিজেআরআই, ঢাকা। প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন ড. মোঃ শিবলী নোমান, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, পাট গবেষণা উপ-কেন্দ্র, মণিরামপুর, যশোর।

প্রশিক্ষণে বিভিন্ন উপজেলার ৫০ জন পাটচাষী অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীদের বিজেআরআই উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল পাট ও কেনাফের জাত, মানসম্মত বীজ উৎপাদন কৌশল, রোগবালাই ব্যবস্থাপনা, জমি প্রস্তুতি, সার প্রয়োগ, ফসল সংগ্রহ ও বীজ সংরক্ষণ বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

প্রধান অতিথি ড. নার্গীস আক্তার বলেন, “পাট বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও অর্থকরী ফসল। উন্নত জাত ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করলে পাট ও কেনাফ চাষে কৃষকরা আগের চেয়ে দ্বিগুণ লাভবান হতে পারেন।”

তিনি আরও বলেন, “বিজেআরআই উদ্ভাবিত জাতসমূহের উৎপাদন সম্ভাবনা অনেক বেশি। এসব জাতের বীজ সারাদেশে সম্প্রসারণের মাধ্যমে পাটশিল্পের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব।”

তাছাড়া তিনি বিজেআরআই উদ্ভাবিত পাট শাক ও সবজি মেস্তা (চুকুর) ফসলের পুষ্টিগুণ ও বহুমুখী ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “মেস্তা শুধু সবজি হিসেবেই নয়, এটি শরীরের জন্য উপকারী ও পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফসল। এর বাণিজ্যিক চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে কৃষকের আয়ও বৃদ্ধি পেতে পারে।”

প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারী কৃষকদের মধ্যে তথ্যপত্র ও প্রশিক্ষণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।