গোল করেও ইতিহাস লিখেছেন যারা


আমাদের যশোর প্রকাশের সময় : আগস্ট ২০, ২০২৫, ১:১১ অপরাহ্ণ / 4
গোল করেও ইতিহাস লিখেছেন যারা

ফুটবল মাঠে এমন দৃশ্য সচরাচর দেখা যায় না। কেননা, গোলকিপারদের মূল দায়িত্বই প্রতিপক্ষের আক্রমণ ঠেকানো। কিন্তু গোলকিপারই যখন গোল করেন, সেটি এক বিশেষ ও স্মরণীয় মুহূর্তে রূপ নেয়। প্রচলিত ধারা ভেঙে গোল করার বিরল কীর্তিও গড়েছেন তারা। ফুটবল ইতিহাস ও পরিসংখ্যান সংরক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএফএফএইচএসের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি গোল করা ১০ জন গোলকিপার কারা, জেনে নেওয়া যাক একনজরে।

২২ বছর শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলে ৩১টি গোল করেছেন মিসায়েল আলফারো। এর মধ্যে ১১টি গোল পেনাল্টি থেকে। ঘাড়ের গুরুতর চোটে ফুটবলকে বিদায় জানানো এল সালভাদরের সাবেক এই গোলকিপার বর্তমানে ক্লাবটির অনূর্ধ্ব-১৭ দলের গোলকিপার কোচ।

গোলের প্রয়োজনে ম্যাচের শেষ দিকে নিয়মিতই স্ট্রাইকারের পজিশনে খেলতেন ফার্নান্দো প্যাটারসন। খেলোয়াড়ি জীবনে বেশির ভাগ সময়ই গুয়াতেমালায় কাটিয়েছেন। ক্যারিয়ারজুড়ে ৩৫ গোলের ছোঁয়া পাওয়া কোস্টারিকার সাবেক এই গোলকিপার ২০১৩ সালে অবসরে যান।

জার্মানি জাতীয় দলের হয়ে খুব বেশি খেলার সুযোগ পাননি হান্স-ইয়োর্গ বুট। অলিভার কান ও ইয়েন্স লেমানের ছায়া হয়েই থাকতেন। এরপরও ৩৭ গোল করেছেন। চ্যাম্পিয়নস লিগে তিনটি ভিন্ন ক্লাবের হয়েও গোল করেছেন। তবে আর কারোর এই কীর্তি নেই।

২০১৯ সালে ফুটবলকে বিদায় জানানো ব্রাজিলের সাবেক গোলকিপার মার্সিও গোইয়ানিয়েনসের জার্সিতে ৩৭টি, গোইয়ানিয়ার হয়ে দুটি এবং গোইয়াসের হয়ে একটি গোল করে তালিকার সাতে আছেন। তালিকার ৬ নম্বরে থাকা

পেনাল্টি বিশেষজ্ঞ দিমিতার ইভানকভ ৪২ গোল করেছেন, যা ইউরোপীয় গোলকিপারদের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০০৮ টার্কিশ কাপ ফাইনালে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে স্মরণীয় তিনি। ফাইনালে জোড়া গোলের পাশাপাশি টাইব্রেকারে তিনটি শট ঠেকিয়ে কায়সেরিস্পোরকে ট্রফি এনে দেন।

বিশ্বের সবচেয়ে ‘পাগলাটে ও খ্যাপাটে’ গোলকিপার রেনে হিগুইতা। অদ্ভুত কায়দায় গোল ঠোকানোর পাশাপাশি গোল করার ক্ষেত্রেও পারদর্শী এই কলম্বিয়ান ৪৩ গোল করেছেন, এর মধ্যে জাতীয় দলের হয়ে তিনটি। তালিকার চারে থাকা জনি ভেগাসকে লাতিন ফুটবলের যাযাবর বলা হতো। ২০ বছরের ক্যারিয়ারে ১৫টি ক্লাবের হয়ে ৪৫ গোল করেছেন এর মধ্যে ৯টিই আবার ওপেন প্লে থেকে।

মেক্সিকোর কিংবদন্তি গোলকিপার হোর্হে কাম্পোস ক্যারিয়ারজুড়ে ৪৬ গোল করেছেন, এর মধ্যে স্ট্রাইকার হিসেবেই ২৮টি। মূলত ম্যাচের মাঝপথে হঠাৎ গ্লাভজোড়া অন্য এক সতীর্থের হাতে তুলে দিয়ে নিজে স্ট্রাইকার হয়ে যেতেন তিনি।

সেট পিস বিশেষজ্ঞ হোসে লুইস চিলাভার্টের ক্লাব ফুটবলে অধিকাংশ সময়ই আর্জেন্টিনায় কেটেছে। প্যারাগুয়ের কিংবদন্তি এই গোলকিপার ক্যারিয়ারে ৬৭ গোল করেছেন, যা গোলকিপারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তিনিই একমাত্র গোলকিপার, যার তিনটি হ্যাটট্রিক আছে।

তার ধারেকাছেও নেই কেউ। ১২৯ গোল করে গিনেস বইয়ে নাম তুলেছেন। এর মধ্যে ৫৯টিই ফ্রি-কিক থেকে! ব্রাজিলের ২০০২ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যও ছিলেন। তবে একবারও মাঠে নামার সুযোগ হয়নি। ক্লাব ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ রজারিও চেনি সেলেসাওদের হয়ে কেবল ১৭ ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন। ১২৯ গোলের বিশ্বরেকর্ড তাকে ফুটবল ইতিহাসে জায়গা করে দিয়েছে।