
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের পুণ্য স্মৃতিময় দিন আজ ১২ রবিউল আউয়াল। সারা বিশ্বের মুসলমানরা এই দিনটিকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করেন।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন সর্বশেষ নবী ও রাসুল। তিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন তাওহিদের মহান বাণী নিয়ে। প্রচার করেছেন শান্তির ধর্ম ইসলাম। তাঁর আবির্ভাব এবং ইসলামের শান্তির বাণীর প্রচার সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
মুসলমানদের কাছে এই দিনটি ‘ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)’ নামে পরিচিত। আজ সারা দেশে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে দিনটি। ‘ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)’ উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
ইসলামি ঐতিহ্য অনুযায়ী, মহানবী (সা.)-কে অনুসরণ করলেই মানবকল্যাণ সম্ভব। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য তাঁর জীবনাদর্শকে সম্পূর্ণভাবে গ্রহণ করতে হবে। খণ্ডিতভাবে অনুসরণ করলে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন সম্ভব নয় এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি ব্যতীত জান্নাতে প্রবেশের সুযোগও নেই।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। দেশের বিভিন্ন মসজিদে কোরআনখানি, মিলাদ, দোয়া মাহফিল এবং মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মাসব্যাপী ইসলামী বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশও দোয়া মাহফিল, সেমিনার ও বিশেষ আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
দিবসটি উপলক্ষে মসজিদে মসজিদে বিশেষ মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :